ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলায় এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রাজধানী সানার ১৩ জন এবং সাদা শহরের ১০ জন রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে শনিবার থেকে এই হামলা শুরু হয়, যা রবিবারও অব্যাহত ছিল।
লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের বাণিজ্যিক জাহাজে হুতিদের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটন এই সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, হুতিরা হামলা বন্ধ না করলে ‘নরক নেমে আসবে’।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘ইরানের অর্থায়নে হুতিরা যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। আমাদের সেনা ও মিত্রদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। তাদের জলদস্যুতা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য কোটি কোটি ডলার খরচ হচ্ছে এবং জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে।’
হুতিরা এই হামলার নিন্দা জানিয়ে এটিকে ‘বিদ্বেষপূর্ণ আগ্রাসন’ বলে আখ্যায়িত করেছে। এক বিবৃতিতে তারা দাবি করেছে, আবাসিক এলাকায় মার্কিন হামলা যুদ্ধাপরাধের শামিল। হুতিরা পাল্টা হামলারও হুমকি দিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। ইরান ও তার মিত্ররা এই হামলার কড়া প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে, যা পুরো অঞ্চলে নতুন সংঘাতের জন্ম দিতে পারে।
Leave a comment