রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে জাতিসংঘে একটি নতুন প্রস্তাব উত্থাপন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল শুক্রবার পেশ করা ৬৫ শব্দের সংক্ষিপ্ত এই প্রস্তাবে রাশিয়ার অধিকৃত ইউক্রেনের ভূখণ্ড কিংবা রাশিয়ার হামলার নিন্দা সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি। একই দিনে ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা জাতিসংঘে আরেকটি পৃথক প্রস্তাব উত্থাপন করে, যেখানে যুদ্ধের অবসানের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদারের আহ্বান জানানো হয়েছে।
আগামী সোমবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে উভয় প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শেষে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিনই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তিন বছর পূর্ণ করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও তাঁদের প্রস্তাবকে “সাদামাটা ও ঐতিহাসিক” বলে উল্লেখ করে জাতিসংঘের সদস্যদের এটি সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ৬৫ শব্দের এই বিবৃতিতে শুধু যুদ্ধজনিত প্রাণহানির জন্য শোক প্রকাশ ও সংঘাত দ্রুত শেষ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া এই প্রস্তাবকে “ভালো পদক্ষেপ” হিসেবে স্বীকার করলেও এতে সংঘাতের মূল কারণ তুলে ধরা হয়নি বলে মন্তব্য করেন।
এদিকে, ইউক্রেন ও ইউরোপীয় মিত্রদের প্রস্তাবে ২০২৫ সালের মধ্যে যুদ্ধ শেষ করার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা এবং ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করা হয়েছে।
২০২২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে গৃহীত ১৪৩ ভোটের ইউক্রেন সংক্রান্ত পূর্ববর্তী প্রস্তাবের কথাও নতুন প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে রাশিয়ার সেনাদের ইউক্রেন থেকে দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছিল।
এই নতুন কূটনৈতিক তৎপরতা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ পরিণতির ক্ষেত্রে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নানা বিশ্লেষণ চলছে।
Leave a comment