কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী ডিগ্রি কলেজের শহীদ মিনার ভাঙচুরের ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ঘটনার তদন্তে উপজেলা প্রশাসন ও কলেজ কর্তৃপক্ষ দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জামাল হোসেন, সেনাবাহিনীর সদস্য, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। পরে ইউএনও জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হবে। উপজেলা কৃষি অফিসার জোবায়ের আহমেদকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। অন্যদিকে, কলেজের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, শহীদ মিনারটি ১৯৬৮ সালে স্থাপিত হয় এবং কিছুটা পুরনো ও দুর্বল অবস্থায় ছিল। তবে নৈশপ্রহরীর বর্ণনা অনুযায়ী, রাত ২টার দিকে বিকট শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি দেখেন, শহীদ মিনারের দুটি স্তম্ভ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। তবে কলেজে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় এখনই দোষীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন থানার ওসি হিলাল উদ্দিন। তিনি আশ্বাস দেন, তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কুমিল্লার সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আলমগীর ঘটনাটিকে শহীদ দিবসের চেতনার প্রতি চরম আঘাত বলে উল্লেখ করে দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করেন, অপরাধীরা শাস্তি না পেলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটতে পারে।
Leave a comment