ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নেওয়ার পাশাপাশি দুই নারী যাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা ঘটেছে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকায়।
ভুক্তভোগীরা জানান, ঢাকার গাবতলী থেকে রাত ১১টায় ছেড়ে যাওয়া ইউনিক রোড রয়েলসের আমরী ট্রাভেলস বাসটি (নম্বর: ময়মনসিংহ-ব-১১-০০৬৯) চলন্ত অবস্থায় ডাকাতের কবলে পড়ে। বাসটিতে প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিলেন।
বাসযাত্রীদের দেওয়া তথ্যমতে, গাবতলী থেকে বাস ছাড়ার সময় পেছনের সিটে তিনজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি ওঠেন। কিছু দূর যাওয়ার পর আরও পাঁচজন তাদের সঙ্গে যোগ দেন। পরে একপর্যায়ে তারা অস্ত্র বের করে বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
এক যাত্রী জানান, ডাকাতরা প্রথমে একজনকে ছুরিকাঘাত করে ভয় দেখায়, এরপর যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা, মোবাইল ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিস কেড়ে নেয়। এ সময় কয়েকজন যাত্রী শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
একাধিক যাত্রীর ভাষ্যমতে, ডাকাতরা দুই নারী যাত্রীকে শ্লীলতাহানি করে। তবে বড়াইগ্রাম থানায় পৌঁছানোর পর ওই দুই নারী পুলিশের কাছে ঘটনাটি জানান।
ডাকাতির শিকার কয়েকজন নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় আশ্রয় নেন। পরে পুলিশের পরামর্শে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে দুইজন মির্জাপুর থানায় মামলা করতে যান।
বড়াইগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম বলেন, “দুই নারী যাত্রী তাদের গায়ে হাত দিয়ে গয়নাপত্র খুলে নেওয়ার কথা বলেছেন। যেভাবে খুলে নেওয়া হয়েছে, তাতে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে।”
ঘটনার পরপরই পুলিশ বাসের চালক, সহকারী ও সুপারভাইজারকে আটক করলেও আদালত তাদের জামিন দিয়েছে। আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোস্তফা কামাল জানান, “মামলাটি ফৌজদারি কার্যবিধি ৫৪ ধারায় হওয়ায় এবং আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেছে।”
এই ঘটনার পর ভুক্তভোগীরা দ্রুত বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবি জানিয়েছেন। পুলিশও বিষয়টি গভীরভাবে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।
Leave a comment