চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটের ব্যবধানে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করল বাংলাদেশ। ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর তাওহীদ হৃদয়ের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে সম্মানজনক সংগ্রহ দাঁড় করালেও শুভমান গিলের সেঞ্চুরিতে সহজ জয় পায় ভারত।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়ে। মাত্র ৯ ওভারের মধ্যে ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দলটি দিশেহারা হয়ে পড়ে। ভারতের ইনজুরি থেকে ফেরা পেসার মোহাম্মদ শামি ও তরুণ হার্শিত রানার আগুনঝরা বোলিংয়ে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ।
এই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে ব্যাটিং লড়াই চালান তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলী। ষষ্ঠ উইকেটে ১৫৪ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে তুলেন তারা। ক্র্যাম্পের কারণে খুঁড়িয়ে খেললেও হৃদয় ১১৮ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন। অন্যদিকে, ১১৪ বলে ৬৮ রান করেন জাকের। এই পার্টনারশিপেই মূলত লড়াই করার মতো রান পায় বাংলাদেশ।
তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর শেষদিকে রিশাদ হোসেনের ১২ বলে ১৮ রানের ক্যামিও বাংলাদেশকে ২২৮ রানের সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেয়। ভারতের পক্ষে মোহাম্মদ শামি ৫ উইকেট নিয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন।
২২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা বেশ ভালো করে ভারত। রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল বেশ দেখেশুনে ব্যাট করেন। পাওয়ারপ্লেতে কিছুটা বোলিং লাইন ধরে রাখতে পারলেও বাংলাদেশি বোলাররা তেমন সুবিধা করতে পারেননি।
রোহিত শর্মা ৩৬ বলে ৪১ রান করে তাসকিন আহমেদের বলে ক্যাচ তুলে দিলে প্রথম উইকেট পায় বাংলাদেশ। এরপর কোহলি কিছুটা সময় খেললেও রিশাদ হোসেনের দুর্দান্ত লেগ স্পিনে মাত্র ২২ রান করে আউট হন। তবে বাংলাদেশের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়ান শুভমান গিল। ওয়ানডে ক্রিকেটে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা গিল এখানেও থামেননি। ১২৫ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয় এনে দেন তিনি।
শেষদিকে লোকেশ রাহুলের ৪৬ রানের অপরাজিত ইনিংস নিশ্চিত করে ভারতের জয়। বাংলাদেশের হয়ে রিশাদ হোসেন ২টি উইকেট নিলেও দলের পরাজয় ঠেকাতে পারেননি।
এই হারের ফলে বাংলাদেশের জন্য টুর্নামেন্টের চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন হয়ে গেল। গ্রুপ পর্বে টিকে থাকতে হলে বাকি ম্যাচগুলোতে ভালো পারফরম্যান্স করতে হবে দলকে। বিশেষ করে ব্যাটিং লাইনআপের ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে না পারলে বাংলাদেশের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পথ কঠিন হতে পারে।
Leave a comment