রাজধানীর উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে ধারালো অস্ত্র (রামদা) দিয়ে নৃশংসভাবে কোপানোর ঘটনায় মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হামলাকারীরা বারবার বলছিল, “আমাদের চিনিস? আমরা কে?” এরপরই তারা একের পর এক আঘাত হানতে থাকে মেহেবুল হাসান (৩৭) ও নাসরিন আক্তার (২৮)-এর ওপর।
আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার রওনক জাহান জানান, হামলার মূল হোতা আলফাজ মিয়া ওরফে শিশির (২২) ও মেহেদী হাসান সাইফ (২৪) সরাসরি রামদা দিয়ে আঘাত করেছে। বাকিদের মধ্যে মোবারক হোসেন (২৫), রবি রায় (২২) ও সজীব (২০) গ্রেপ্তার হয়েছে। পুলিশ হামলায় ব্যবহৃত দুটি রামদাও উদ্ধার করেছে।
গত সোমবার রাত ৯টার দিকে, পথে মোটরসাইকেল চালিয়ে তিনজন উচ্ছৃঙ্খলভাবে শব্দ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা একটি রিকশাকে ধাক্কা দেয়, যেখানে এক শিশু ও তার মা ছিলেন। শিশুটির বাবা প্রতিবাদ করলে, হামলাকারীদের সঙ্গে তর্ক হয়। তখনই মেহেবুল ও নাসরিন ঝামেলা থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এরপরই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। আক্রমণকারীরা প্রথমে মেহেবুলকে মারধর শুরু করে এবং একপর্যায়ে রামদা নিয়ে আসে। ভুক্তভোগীরা আত্মরক্ষার চেষ্টা করলেও তাদের উপর একের পর এক আঘাত হানা হয়। নাসরিন তাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও কোপানো হয়।
পুলিশ জানায়, স্থানীয়রা বাধা দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে পুলিশের তাৎক্ষণিক অভিযানে মোবারক ও রবি রায়কে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়। পরে টঙ্গী থেকে সাইফ ও সজীবকেও আটক করা হয়।
এই হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে, এবং পুলিশ বলছে—আসামিদের মধ্যে কারও বিরুদ্ধে অতীতেও অপরাধমূলক কার্যক্রমের রেকর্ড রয়েছে।
আহতরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে।
Leave a comment