মাত্র এক সপ্তাহে বিশ্ব কূটনীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
১২ ফেব্রুয়ারি পুতিন-ট্রাম্পের ফোনালাপ দিয়ে শুরু হওয়া এই পরিবর্তন ছড়িয়ে পড়ে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে, যেখানে ইউরোপ ও আমেরিকার মধ্যে মতপার্থক্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এরপর সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত হয় দীর্ঘদিন পর যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া উচ্চপর্যায়ের বৈঠক।
এই কূটনৈতিক তৎপরতা ইউক্রেন ও ইউরোপকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে এবং রাশিয়াকে বিশ্ব রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে ফিরিয়ে এনেছে—কোনো রকম ছাড় না দিয়েই।
রাশিয়ার সরকারি গণমাধ্যমগুলো রিয়াদ বৈঠকের ছবি ফলাও করে প্রচার করছে, দেখাতে চায় যে পশ্চিমাদের রাশিয়াকে একঘরে করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
প্রো-ক্যাম্প ক্রেমলিন সংবাদপত্র Moskovsky Komsomolets লিখেছে, ট্রাম্প জানেন যে তাকে রাশিয়াকে কিছু না কিছু ছাড় দিতেই হবে, তবে সেটা আমেরিকার নয়, ইউক্রেন ও ইউরোপের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে। তবে মস্কোর সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে অতটা উচ্ছ্বাস নেই। অনেকেই ট্রাম্পের বাস্তব পদক্ষেপের অপেক্ষায় আছেন।
একজন রুশ নাগরিক নাদেজদা বলেন, ট্রাম্প একজন ব্যবসায়ী, তিনি শুধু নিজের স্বার্থ দেখেন। বড় কোনো পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না। অন্যদিকে, গিওর্গি আশাবাদী, যদি এই আলোচনা সত্যিই কাজে আসে, তাহলে শত্রুতা কমবে। শান্তি প্রয়োজন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প ও পুতিনের আলোচনার ফলাফল আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। শিগগিরই তাদের সামনাসামনি বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।রাশিয়ার একটি সংবাদপত্র কৌতুক করে লিখেছে, ট্রাম্প ফোন করে বললেন, ‘ভ্লাদিমির! তোমার দেশ দারুণ, আমার দেশও দারুণ। বিশ্ব ভাগাভাগি করে নিই? বাস্তবে কী ঘটবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
Leave a comment