খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) কর্তৃপক্ষ জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়টি ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে, ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাখার নীতিও বহাল রাখা হয়েছে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অনুষ্ঠিত ৯৩তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহেদুজ্জামান শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কুয়েট আইন, ২০০৩-এর ধারা ৪৪(৫) অনুযায়ী, শিক্ষকদের পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না। কেউ এ নিয়ম লঙ্ঘন করলে তদন্ত সাপেক্ষে চাকরিচ্যুত করা হবে।
শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য থাকবে। কেউ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে তদন্তের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে এবং তার শিক্ষার্থী মর্যাদা বাতিল করা হবে।
মঙ্গলবারের সংঘর্ষের ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত বহিরাগতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং হামলায় সরাসরি যুক্ত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে।
ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় সম্পূর্ণভাবে বহন করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কুয়েট কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। তারা সতর্ক করেছে, ভবিষ্যতে নিয়ম লঙ্ঘন করলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Leave a comment