গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুর্নীতির শিকার হয়েছেন প্রতি চারজনের তিনজন (৭৪.৪ শতাংশ) নাগরিক, জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের (OHCHR) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, “উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতি প্রশাসন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার নিম্ন স্তরেও ব্যাপক দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির চিত্র প্রতিফলিত করেছে।”
গত সপ্তাহে জেনেভা থেকে প্রকাশিত “বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টের প্রতিবাদ সংশ্লিষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন” শীর্ষক এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার প্রশাসন, বিচার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিল।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থনীতিতে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যেখানে ছোট ও মাঝারি শিল্পের বিকাশে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দেশের মোট আয়ের সিংহভাগ সবচেয়ে ধনী পাঁচ শতাংশের হাতে কেন্দ্রীভূত হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, রাজনৈতিকভাবে সংযুক্ত গোষ্ঠীগুলো ব্যাংক ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে বিশাল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেছে, যা দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এ ছাড়া, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
Leave a comment