বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহারের বিষয়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর (ওএইচসিএইচআর)। তাদের তথ্যানুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের ভয় দেখাতে এবং সম্ভবত বেআইনি বল প্রয়োগের জন্য র্যাবের কালো রঙের হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিক্ষোভকারীদের দমন করতে আরও বেশি হেলিকপ্টার মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিলেন, যা র্যাব বাস্তবায়ন করেছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বলা হয়েছে, ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় হেলিকপ্টার থেকে কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড, এমনকি প্রাণঘাতী গুলিও ছোড়া হয়েছে।
ওএইচসিএইচআরের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা হেলিকপ্টার থেকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ার কথা স্বীকার করলেও গুলি চালানোর বিষয়ে নিশ্চয়তা দেননি। তবে তারা উল্লেখ করেছে যে আন্দোলনের সময় মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়ার সরাসরি ভিডিও প্রমাণ পাওয়া কঠিন ছিল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, হেলিকপ্টার থেকে নির্বিচারে গুলি ছোড়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধানী দল বিষয়টি নিয়ে আরও গভীর তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে এবং এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পূর্ণ সহযোগিতা চেয়েছে।
Leave a comment