দীর্ঘদিন ধরে গোপন বন্দিশালা হিসেবে ব্যবহৃত ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের নিয়ে তিনি ঢাকার কচুক্ষেত, আগারগাঁও ও উত্তরা এলাকার তিনটি গোপন বন্দিশালা ঘুরে দেখেন, যেখানে অতীত সরকারের আমলে ভয়াবহ নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই পরিদর্শনকালে তিনি বন্দিশালাগুলোর ভেতরের অবস্থা স্বচক্ষে দেখেন। নোংরা, স্যাঁতসেঁতে ছোট ছোট কক্ষে একসময় নির্যাতিতদের আটকে রাখা হতো। সেখানে ইলেকট্রিক চেয়ারসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের বিভিন্ন উপকরণ পাওয়া গেছে বলে গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে থাকা ভুক্তভোগীদের কেউ কেউ আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা জানান, কীভাবে দিনের পর দিন তাদের বিনা বিচারে আটক রেখে ভয়াবহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হতো। প্রধান উপদেষ্টা আয়নাঘরগুলোকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেন এবং বলেন, এগুলো অতীতের অন্ধকার অধ্যায়ের চিহ্ন। আমাদের দায়িত্ব এগুলো প্রকাশ্যে এনে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
গুম তদন্ত কমিশন ইতোমধ্যে এই আয়নাঘরগুলোর ব্যাপারে আরও বিশদ অনুসন্ধান শুরু করেছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এমন আরও বন্দিশালা দেশের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে থাকতে পারে, যা খুঁজে বের করার কাজ চলছে।
Leave a comment