যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত দফায় দফায় চলা এই সংঘর্ষে প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেনসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন। তারা যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনের প্রস্তুতি চলছিল, যা শিক্ষার্থীদের একটি অংশ মেনে নিতে রাজি ছিল না। শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে চায়ের দোকানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের কথা-কাটাকাটি হয়। বিষয়টি প্রক্টর অফিসে মীমাংসার জন্য নেওয়া হলে দুই পক্ষের উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও শিক্ষকরা। পরে উপাচার্য ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
সংঘর্ষে আহত সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম ফয়সাল ও রাফিন আফসার জানান, চায়ের দোকানে কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা চলাকালীন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর চড়াও হয় এবং প্রথম হামলা চালায়, যা পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ জানান, বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই আওয়ামীপন্থি শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত আদেশের প্রতিবাদে সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন, যা সংঘর্ষের পেছনে ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Leave a comment