যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শপথের পর আত্মবিশ্বাসী ভাষণে তিনি ঘোষণা করেন, “আজ থেকেই আমেরিকার সোনালি যুগের সূচনা হলো।” অনুষ্ঠানে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, প্রাক্তন ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসসহ বিশিষ্ট অতিথিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, আমেরিকা আবারও সমৃদ্ধি অর্জন করবে এবং বিশ্ববাসীর কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠবে।
ট্রাম্প তার ভাষণে আমেরিকার সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার, নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনা এবং বিচার বিভাগের ভারসাম্য পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিচার বিভাগ দীর্ঘদিন ধরে অপব্যবহারের শিকার হয়েছে এবং তা এখন থেকে বন্ধ হবে। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য একটি গর্বিত, সমৃদ্ধ এবং স্বাধীন জাতি গড়া।”
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শাসনামলকে আমেরিকার জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আমেরিকা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও মহান, শক্তিশালী এবং অসাধারণ হয়ে উঠবে। আজ থেকে সূর্যালোক সারা বিশ্বকে আলোকিত করছে, এবং আমেরিকা সেই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য সঠিক অবস্থানে রয়েছে।”
বাইডেন প্রশাসনের অভিবাসন নীতির তীব্র সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, “বিদায়ী সরকার আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা অপরাধীদের সুরক্ষা দিয়েছে, যারা অবৈধভাবে আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “বিদেশি সীমান্ত সুরক্ষায় অযথা অর্থ ব্যয় করা হলেও নিজ দেশের সুরক্ষার জন্য কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”
উত্তর ক্যারোলিনার হারিকেন এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই দুর্যোগ ধনী-গরিব উভয়ের জীবনে বিপর্যয় এনেছে। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং শিক্ষা ব্যবস্থা কাজ করছে না, যা আজ থেকেই পরিবর্তনের পথে এগিয়ে যাবে।”
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শাসনামলকে “গর্বিত, সমৃদ্ধ এবং শক্তিশালী আমেরিকা” গড়ার মিশন হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “আজকের দিনটি আমেরিকার জন্য একটি নতুন ইতিহাস রচনা করল। এই যাত্রা আমাদের জাতিকে আবারও বিশ্বের নেতৃত্বে ফিরিয়ে আনবে।”
Leave a comment