আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার, ২০ জানুয়ারি, সকাল ১০টায় ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে তার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। শৈত্যপ্রবাহের কারণে এবার অনুষ্ঠানটি ক্যাপিটল ভবনের বাইরে না করে ভবনের ভেতরে আয়োজিত হচ্ছে।
ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়া মার্কিন ইতিহাসে নজিরবিহীন। একবার হেরে আবার ক্ষমতায় ফেরা এটাই প্রথম। অভিষেক অনুষ্ঠান ঘিরে কৌতূহল ও উত্তেজনা তুঙ্গে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন।
বিশেষ অতিথিদের মধ্যে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মাইলি, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং উপস্থিত থাকবেন। এমনকি ২০২১ সালের শপথ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকা ট্রাম্পের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনসহ সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, জর্জ ডব্লিউ বুশ ও বারাক ওবামাও এবার উপস্থিত থাকবেন।
শপথগ্রহণ শেষে একটি নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স উপস্থিত থাকবেন। এই নৈশভোজে অংশ নিতে পাঁচ ধরনের টিকিটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যার মূল্য ৫০ হাজার ডলার থেকে ১০ লাখ ডলার পর্যন্ত। মূলত অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যেই এই নৈশভোজের আয়োজন।ওয়াশিংটন ডিসি জুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ক্যাপিটল ভবনে শপথ অনুষ্ঠানের রোটান্ডায় ৭০০ জন অতিথি সরাসরি উপস্থিত থাকবেন, তবে ২ লক্ষাধিক টিকিট বিক্রি হওয়ায় বাকিরা বড় স্ক্রিনে অনুষ্ঠান দেখবেন।
প্রবল ঠান্ডা এবং শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস থাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১৯৮৫ সালের পর প্রথমবার ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে শপথ অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন দিক উন্মোচন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। তার বক্তব্য অনুযায়ী, “বিশ্ব এবার এক নতুন আমেরিকা দেখবে।”
Leave a comment