পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মোজাম্মেল হক, যিনি ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে পুলিশের এক শাখায় কর্মরত ছিলেন, বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাঁর মালিকানাধীন সম্পদের মধ্যে রয়েছে একাধিক ব্যবসা, জমি, রিসোর্ট এবং ওষুধ কারখানা। কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার বড়কান্দা ইউনিয়নে মেঘনা নদীর মাঝখানে একটি রিসোর্ট তৈরি করেছেন, যা ইতিমধ্যেই মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
গাজী মোজাম্মেল হক, যিনি বর্তমানে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) পদে আছেন, তার বর্তমান সম্পদের তালিকায় রয়েছে ১২ বিঘা জমির বাংলোবাড়ি, মেঘনা নদীর মাঝখানে নির্মিত রিসোর্ট, এবং বিভিন্ন এলাকায় জমি। এছাড়া, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ‘আনন্দ পুলিশ হাউজিং সোসাইটি’ নামে আবাসন ব্যবসা গড়ে তুলেছেন। এই আবাসন প্রকল্পের জন্য প্রায় ১ হাজার ২০০ বিঘা জমি কেনা হয়েছে, এবং গাজী মোজাম্মেলের স্ত্রী ফারজানা মোজাম্মেলও এতে অংশীদার। তাঁর নামে রয়েছে ‘আনন্দ প্রপার্টিজ লিমিটেড’ নামের একটি কোম্পানি।
অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মোজাম্মেল হকের সম্পত্তির ব্যাপারে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। বলা হচ্ছে, তিনি জমি জোরপূর্বক দখল করেছেন, এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের নামে বিভিন্ন মামলা দিয়ে জমি লিখে নেওয়া হয়েছে। কিছু ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন যে, জমি বিক্রি করার জন্য তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে এবং প্রতিবাদ করলে হামলা করা হয়েছে। এমনকি, স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন যে, তাঁর আড়াই বিঘা জমি বালু ভরাট করে দখল করে নিয়েছেন গাজী মোজাম্মেল।
এই সম্পদের উৎস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কারণ গাজী মোজাম্মেল ২৬ বছরের পুলিশি ক্যারিয়ারে এত বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন। তবে, গাজী মোজাম্মেল দাবি করেছেন যে, এসব সম্পত্তি তিনি সমবায় সমিতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন, এবং তাঁর স্ত্রীর নামে জমি কেনার জন্য আইনগত কারণে এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন।
গাজী মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে আরও কিছু অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে একটি মামলা রয়েছে যেখানে তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে প্রায় ৬২ বিঘা জমি মিথ্যা মামলায় দখল করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
Leave a comment