যুক্তরাজ্যের ট্রেজারি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী এমপি টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেছেন। তার এই সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়্যার স্টারমার গভীর প্রশংসা করেছেন, একে “চিন্তাশীল এবং নিঃস্বার্থ” আখ্যা দিয়ে জনসেবার প্রতি তার অঙ্গীকারের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ে তার সময়ে টিউলিপ আর্থিক খাতে বৈষম্য কমাতে উল্লেখযোগ্য নীতিমালা প্রণয়ন করেন। তার সবচেয়ে প্রশংসিত প্রকল্পগুলোর একটি হলো সারা দেশে ব্যাংকিং হাব চালু করার উদ্যোগ। এসব হাব আর্থিক সেবাবঞ্চিত এলাকাগুলোতে সেবার সুযোগ তৈরি করেছে। ১০০তম হাব চালুর মধ্য দিয়ে তিনি যুক্তরাজ্যে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির নতুন মাত্রা যোগ করেছেন।
টিউলিপের নেতৃত্বে চ্যান্সেলরের ম্যানশন হাউস ভাষণের নীতিমালাগুলো প্রস্তুত হয়, যা টেকসই উন্নয়ন ও আর্থিক সাম্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করেছে। তার এই উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা আর্থিক নীতিনির্ধারণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী স্টারমার এক চিঠিতে টিউলিপের অবদানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, “তার অঙ্গীকার ও নেতৃত্ব যুক্তরাজ্যের আর্থিক ব্যবস্থার উন্নতিতে অসামান্য ভূমিকা রেখেছে।”
অন্যদিকে, মন্ত্রীদের মানদণ্ড বিষয়ক স্বাধীন উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিউলিপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এমনকি নিজেই এই পর্যালোচনার প্রস্তাব দিয়ে টিউলিপ তার নৈতিকতার শক্তিশালী অবস্থান তুলে ধরেন।
তবে তার পদত্যাগ এমন এক সময়ে এসেছে, যখন বিভিন্ন মিডিয়ায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে জল্পনা চলছে। এই অভিযোগগুলো তার পারিবারিক সম্পর্ক ও বাংলাদেশের রাজনীতির জটিলতার সঙ্গে যুক্ত। যদিও প্রধানমন্ত্রী তাকে সব অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছেন, তবু কিছু মহল তাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বলির পাঁঠা হিসেবে দেখছে।
টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রীত্ব ছাড়লেও সংসদে একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জনসেবার প্রতি তার অবদান ও প্রতিশ্রুতি ভবিষ্যতে তাকে আরও বড় ভূমিকা পালনে সক্ষম করবে।
Leave a comment