৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া দুই শতাধিক প্রার্থী রোববার (৫ জানুয়ারি) পুনর্বিবেচনার আবেদন নিয়ে ঢাকার সচিবালয়ের সামনে জড়ো হয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তাদের আবেদন জমা দেওয়ার পাশাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়ার কারণ জানার দাবিও জানিয়েছেন তারা।
এক বাদপড়া প্রার্থী রায়হান নূর বলেন, “আমরা কোনো রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত নই। কোন ক্রাইটেরিয়ায় আমাদের বাদ দেওয়া হলো, সেটি স্পষ্ট করে জানাতে হবে। অন্যথায়, আগামী ৬ জানুয়ারির মধ্যে আমাদের নিয়োগে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।”
তিনি আরও জানান, বাদপড়া প্রার্থীদের দাবি, ১৫ জানুয়ারির চূড়ান্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার আগে তাদের পুনর্বিবেচনা করা হোক।
৪৩তম বিসিএসে মোট ২,১৬৩ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকার কারণে ৪০ জন এবং গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আরও ৫৯ জনকে বাদ দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে, গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে পুনরায় প্রাক-চরিত্র যাচাইয়ের ফলে আরও ২২৭ জনকে নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়। গত ৩০ ডিসেম্বর এই সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে ১,৮৯৬ জনের নিয়োগ নিশ্চিত করা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণের সুযোগ রেখেছে। মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব উজ্জল হোসেন জানান, “প্রাক-চরিত্র যাচাইয়ে বিরূপ মন্তব্য পাওয়া প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে।”
প্রার্থী হরে কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আবেদন জমা দিতে এসেছি। আমরা শুধু আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে চাই। অন্যায়ভাবে বাদ পড়লে সেটা সংশোধন করতে হবে।”
২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার শেষে ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি পিএসসি ২,১৬৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে। তবে বাদ পড়া প্রার্থীদের দাবি, স্বচ্ছতার অভাব এবং ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তারা যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বাদ পড়েছেন।
বাদপড়া প্রার্থীরা তাদের আবেদন জমা দিয়ে পুনর্বিবেচনার বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, যদি তাদের দাবি উপেক্ষা করা হয়, তবে তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে পারেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৪৩তম বিসিএসের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত এখন এই বিতর্কের নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
Leave a comment