বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা এবং হার্ট, কিডনি, ও লিভারের জটিলতার কারণে যুক্তরাজ্যে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ ১৭ দিন লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। লন্ডনের সময় রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় ভোর ৩টা) তিনি সরাসরি তার ছেলে তারেক রহমানের বাসায় উঠবেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আপাতত বাসায় থেকে তার চিকিৎসা চলবে। প্রয়োজনে ফলোআপের জন্য তাকে আবার হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, খালেদা জিয়ার হার্টের সমস্যার সমাধান হয়েছে, তবে কিডনির জটিলতা এখনো মূল উদ্বেগের কারণ। লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা শুরু হওয়ার পর কিডনি পরীক্ষায় ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বিপদসীমা অতিক্রম করেছিল। ফলে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে ওঠে। তবে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে বর্তমানে তার অবস্থা অনেকটা স্থিতিশীল।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া ছুটির পরেও যুক্তরাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসা নেবেন। তিনি প্রফেসর জন প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবেন। এছাড়া মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরাও তার চিকিৎসায় যুক্ত থাকবেন।
গত ৭ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে যুক্তরাজ্যে পৌঁছান বেগম খালেদা জিয়া। লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই লিভার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর জন প্যাট্রিক কেনেডির নেতৃত্বে তার চিকিৎসা চলেছে।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতা, হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার দেশে ফেরা সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।
Leave a comment