ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার বহুদিন ধরেই মাঠে ফেরার জন্য সংগ্রাম করে চলেছেন। ইনজুরি কাটিয়ে ক্লাব ফুটবলে ফিরেছেন ঠিকই, তবে পুরনো ছন্দে ফেরা এখনও যে বাকি, তা যেন আরও একবার প্রমাণ করলেন তিনি।
জাতীয় দলে ফিরতে হলে তাকে যে শতভাগ ফিট ও প্রস্তুত থাকতে হবে, ব্রাজিলের নতুন কোচ কার্লো আনচেলত্তি সে বার্তা আগেই দিয়ে রেখেছেন। কিন্তু ক্লাব ফুটবলে তার এই ফেরাটা এমন নাটকীয় হবে, তা কে জানত!
মার্চের পর প্রথমবার সান্তোসের শুরুর একাদশে জায়গা পেয়েছিলেন নেইমার। শক্তিশালী বোটাফোগো ছিল প্রতিপক্ষ। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে ভক্তরা চেয়েছিলেন এক জাদুকরি নেইমারকে। কিন্তু তার বদলে পেলেন এক বিভ্রান্ত, হতাশ, মরিয়া নেইমারকে – যিনি শেষমেশ খবরের শিরোনামে এলেন ‘হাত দিয়ে গোল করে লালকার্ড’ পাওয়ার জন্য।
৭৬তম মিনিটে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের ঠেকানো বলটিকে হাতে ঠেলে জালে পাঠাতে চাইলেন নেইমার। ফল? দ্বিতীয় হলুদ কার্ড, অর্থাৎ লালকার্ড। অথচ, প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমেই একটি হলুদ কার্ড দেখা হয়ে গিয়েছিল তার। দ্বিতীয়ার্ধে সেই ভুলটিই যে তার ও দলের জন্য কাল হয়ে উঠলো।
দশজনের দলে পরিণত হওয়া সান্তোস এরপর আর পেরে ওঠেনি। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে আর্তুর গিমারেসের একমাত্র গোলে ম্যাচটি জিতে নেয় বোটাফোগো। আর নেইমারের সান্তোস নেমে যায় রেলিগেশন জোনে-১১ ম্যাচে মাত্র ৮ পয়েন্ট নিয়ে।
এই লালকার্ড যেন নেইমারের ক্যারিয়ারে ফেরার পথে আরেকটি বাঁধা হয়ে দাঁড়াল। অন্যদিকে, বোটাফোগো ১০ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এসেছে নবম স্থানে। আর লিগের শীর্ষে রয়েছে ফ্ল্যামেঙ্গো, ১১ ম্যাচে তারা সংগ্রহ করেছে ২৪ পয়েন্ট। এখন একটাই প্রশ্ন নেইমার কি পারবেন এই বিতর্ক আর হতাশার ছায়া সরিয়ে নতুন করে জ্বলে উঠতে? হয়তো সময়ই এর উত্তর দেবে।
Leave a comment