স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে ঝগড়ার একপর্যায়ে তাকে লাইভে রেখেই রুমন মিয়া নামে এক প্রবাসী আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনা ঘটে বাংলাদেশ সময় শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ওমানের সালালাহ এলাকায় ।
নিহত রুমনের ভায়রা ওবায়দুল হক রোববার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় ওমান থেকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। নিহত রুমন মিয়ার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নে।
জানা যায়, ৯ বছর আগে পারিবারিকভাবে খালাতো বোন পান্না আক্তারের সঙ্গে রুমনের বিয়ে হয়। বিয়ের চার মাস পর রুমন ওমানে পাড়ি জমান। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এ সময় বাবার বাড়িতে অবস্থান করতে থাকেন পান্না। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ও কলহের সৃষ্টি হয়। সবশেষ ২৬ জুলাই রুমন, পান্নাকে ভিডিও কলে যুক্ত করেন। এ সময় পরকীয়ার একটি ভিডিও নিয়ে তাদের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন রুমন।
রুমনের স্ত্রী পান্না আক্তার বলেন, আমাকে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করছে দেখে লাইভ কেটে দেই। এরপর একই ফ্যাক্টরিতে কাজ করা আমার মামাতো বোনের স্বামী ওবায়দুল হককে জানাই বিষয়টি । তিনি গিয়ে দেখেন রুমন ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছেন। তখন আমি জানতে পারি আমার স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। তবে আমার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ সত্য নয়।
রুমনের মা বলেন, শখ করে বোনের মেয়েকে পছন্দ করে বউ করে আনি । বিয়ের পর থেকে তারা আলাদা থাকে। খোঁজ রাখতো না আমার। লোক মারফত জানতে পারি আমার পুত্রবধূ পরকীয়ায় জড়িয়ে গেছে। যদি এই কারণে আমার ছেলে আত্মহত্যা করে থাকে, তাহলে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
নিহতের ভাই আবদুল মমিন বলেন, ভাই প্রবাসে থাকায় স্থানীয় আবদুল কাদের নামে এক নেতার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ভাবি । দলীয় দাপটের কারণে আমরা এ বিষয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করতে পারিনি। আজ তাদের পরকীয়ার বলি হলো আমার ভাই।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ফোনে নিহতের এক স্বজন আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে এখনো কেউ থানায় আসেনি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
Leave a comment