টলিউডের জনপ্রিয় নায়ক ও দর্শকের প্রিয় মুখ আবির চট্টোপাধ্যায় সম্প্রতি স্ত্রী নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে হওয়া কটাক্ষের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তিনি মনে করেন, এই ধরনের অবমাননাকর মন্তব্যের জবাব হলো সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা।
২০০৭ সালে এমবিএ পড়ার সময় সহপাঠী নন্দিনীকে বিয়ে করেন আবির। সুখী দাম্পত্য জীবনে তাদের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। তবে, সময় সময় নন্দিনীর শারীরিক গঠন নিয়ে কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় এই দম্পতিকে। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি স্টেট আপ উইথ শ্রী-তে সাক্ষাৎকারে আবির জানান, “আমার যেটা সব থেকে খারাপ লাগে তা হলো আমি এটা কখনও বদলাতে পারব না, এবং আমার সান্ত্বনা দেওয়ার জায়গাও নেই। এটা আমার সব থেকে খারাপ লাগার জায়গা, যে আমি কিছু করতে পারি না।”
‘ফাটাফাটি’ সিনেমার প্রসঙ্গ টেনে আবির বলেন, “ছবির সময়ও বলেছিলাম—একটা সিনেমা কি কিছু বদলাতে পারবে? পারবে না। তবে এটা অন্তত আলোচনার জায়গা তৈরি করবে।” অভিনেতা মনে করেন, সামাজিক সমস্যা দূরীকরণে আলোচনা ও সচেতনতা অপরিহার্য।
ট্রোলারদের আচরণ নিয়ে আবিরের সরাসরি মন্তব্য— “আমার মনে হয় যারা এগুলো করে তারা এই সময়টা পাওয়ার যোগ্য নয়। তাই এটা নিয়ে আলোচনায় না যাওয়া উচিত, বরং উপেক্ষাই সবচেয়ে বড় অপমান।”
সম্প্রতি নন্দিনীকে ‘মোটা’ বলে কটাক্ষ করলে অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী কড়া জবাব দেন। শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘গৃহপ্রবেশ’ ছবির প্রিমিয়ারে নন্দিনীর ছবিতে হওয়া নেতিবাচক মন্তব্যের উত্তরে ঋতাভরী লেখেন, “কমেন্ট সেকশনই প্রমাণ, ফাটাফাটির মতো সিনেমা বানানোর প্রয়োজন কেন পড়েছে।”
এক ট্রোলারের দাবি ছিল, কটাক্ষগুলো নাকি নারীরাই করেছেন। এর উত্তরে ঋতাভরী জানান, “কেউ যদি অন্য কাউকে তার চেহারা দিয়ে বিচার করে, সেটা ভুল। মেয়েরা মন্তব্য করলেও ভুল। গুরুতর ভুল। যার শরীর নিয়ে বাঁচতে হচ্ছে না, তার শরীর নিয়ে এত মাথাব্যথা কেন?”
আবির চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর সহকর্মীদের প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে, বিনোদন জগতের মানুষজনও ব্যক্তিগত জীবনে অযাচিত সমালোচনার শিকার হন। তবে, তারা বিশ্বাস করেন, সচেতনতা বৃদ্ধি ও উপেক্ষার মাধ্যমেই এই ধরনের কটাক্ষের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব।
Leave a comment