সিরাজগঞ্জে এইচআইভি (HIV) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২৫৫ জন রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু ঘটেছে। বিষয়টি চিকিৎসক ও সুশীল সমাজের মধ্যে শঙ্কার সৃষ্টি করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের এইচআইভি সেন্টার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে জেলায় এইচআইভি পরীক্ষা শুরু হলেও এবার শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আগে যেকোনো সময়ের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে।
সেন্টারের কাউন্সেলর মাসুদ রানা জানান, বর্তমানে শনাক্ত রোগীর মধ্যে ৭৩ শতাংশ মাদকসেবী। এছাড়া সাধারণ মানুষ ৩৫ জন, স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী ২৯ জন এবং যৌনকর্মী চারজন। তিনি বলেন,“ ভারত থেকে অবৈধভাবে আসা ইনজেকশন ড্রাগের মাধ্যমে এই রোগ দ্রুত ছড়াচ্ছে। আক্রান্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধের পাশাপাশি কাউন্সেলিং দেওয়া হচ্ছে। নিয়মিত রি-টেস্টের মাধ্যমে রোগের অবস্থা যাচাই করা হয়।”
সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকিকুন নাহার বলেন,“সামাজিকভাবে নিম্ন আয়ের মানুষরাই মূলত ইনজেকশন ড্রাগ শেয়ার করে ব্যবহার করছেন। আক্রান্তদের চিকিৎসা ও মনোবল বৃদ্ধির জন্য কাউন্সেলিং কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে ইনজেকশন ড্রাগ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর হতে হবে।”
মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অবৈধ নেশাজাতীয় ইনজেকশন বেচাকেনা রোধে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। শেষ দুই বছরে জেলায় বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১৯০০ অ্যাম্পুল ইনজেকশন ড্রাগ জব্দ করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। চিকিৎসকরা বলেছেন, যদি দ্রুত সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আইনগত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে সিরাজগঞ্জে এইচআইভি সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
Leave a comment