অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডি সমুদ্রসৈকতে সশস্ত্র বন্দুকধারীদের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১২ বছর বয়সী এক শিশুও রয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৯ জন, যাদের মধ্যে তিন শিশু ও দুই পুলিশ সদস্য রয়েছেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বন্ডি বিচে আয়োজিত একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এই ভয়াবহ হামলা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও কর্তৃপক্ষের বরাতে জানা গেছে, প্রথম দিনের হনুকা উৎসব উপলক্ষে শত শত মানুষ সমুদ্রসৈকতে জড়ো হয়েছিলেন। ঠিক সেই সময় দুই বন্দুকধারী এলোপাতাড়ি গুলি চালায়, ফলে মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
নিউ সাউথ ওয়েলসের স্বাস্থ্য মন্ত্রী রায়ান পার্ক জানান, রাতের মধ্যেই নিহতের সংখ্যা ১২ থেকে বেড়ে ১৬ জনে পৌঁছেছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘটনার পরপরই পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের গুলিতে এক হামলাকারী নিহত হয় এবং অপরজনকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত হামলাকারী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এই হামলাকে “ইহুদিবিদ্বেষী সন্ত্রাসী হামলা” হিসেবে অভিহিত করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং বলেন, “ঘৃণা ও সহিংসতার কোনো স্থান অস্ট্রেলীয় সমাজে নেই।”
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের কমিশনার ম্যাল ল্যানিয়ন জানান, হামলাকারীদের একজন আগে থেকেই নিরাপত্তা সংস্থার নজরে ছিলেন, তবে তার বিরুদ্ধে কোনো নির্দিষ্ট বা তাৎক্ষণিক হুমকির তথ্য ছিল না। ঘটনার পেছনে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী যোগসূত্র ও উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখতে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই হামলার ঘটনায় অস্ট্রেলিয়া জুড়ে শোক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি ধর্মীয় ও জনসমাগমপূর্ণ স্থানে বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
Leave a comment