ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তরফ থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নোয়াখালী-২ আসনের সাবেক এমপি ও বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলমকে গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক গণমাধ্যমকে জানান।
কমিশনার মল্লিক জানান যে, মোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলার দায়ের রয়েছে এবং বর্তমানে এই মামলাগুলোর সব ধরনের তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়ায় মামলার প্রকৃতি বা ধরণের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
মোরশেদ আলম শুধুমাত্র নোয়াখালী-২ আসনের সাবেক এমপি হিসেবেই পরিচিত নন, বরং তিনি বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভিরও চেয়ারম্যান হিসাবে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নোয়াখালী-২ আসন থেকে সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং পরবর্তী একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পুনরায় একই আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে পূর্বের রাজনৈতিক যাত্রা অব্যাহত রাখেন।
ডিবি কর্তৃপক্ষ মর্মে উল্লেখ করেছেন যে, মোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে অনেক মামলার নথিপত্র ও প্রমাণাদি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া ও তদন্তের অগ্রগতির ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আইন ও আদর্শে আস্থা রেখে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মামলার যাবতীয় দিক নিয়েই পূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন করবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
মোরশেদ আলমের গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে রাজনীতিবিদ এবং সংশ্লিষ্ট দলগুলোর মধ্যে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, এই গ্রেপ্তার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হতে পারে।
Leave a comment