বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আটজনকে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।
বিচারকদের রায়ে বলা হয়েছে, মামলার অভিযোগ প্রমাণে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ফলে আদালত তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সকল আসামিকে খালাস দেন।
বিএনপির আইনজীবী বোরহান উদ্দিন এই রায়ের পর জানান, এখন বিচারিক আদালতে তারেক রহমান ও বাবরের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই। দুদক তাদের বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি, তাই তারা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। এ রায়ের ফলে তারেক রহমান দেশে ফিরে রাজনীতি করতে পারবেন।
অপরদিকে, দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা রায়ের কপি পর্যালোচনা করে উচ্চ আদালতে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
এই মামলার সূত্রপাত বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সাব্বির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে। অভিযোগে বলা হয়, আসামি সাফিয়াত সোবাহান সানভীরকে ওই হত্যা মামলায় দায়মুক্তি দিতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ লেনদেন হয়। ২০০৭ সালে এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ মামলা দায়ের করে।
খালাস পাওয়ার পর তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে বিএনপি নেতারা আশাবাদী। তবে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Leave a comment