ঢাকার ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর চেষ্টা করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন পিরোজপুরের মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ও সন্তান।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, জনতার বাধার কারণে মাওলানা রিকশায় ফিরে যাচ্ছেন। এসময় সাংবাদিকদের জানান, তিনি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের জন্য কোরআন শরিফ খতম করেছেন। তিনি বলেন, “আমি তার জন্য দুইটি খতম দিয়েছি। ১৫ আগস্ট যারা নিহত হয়েছেন, তাদের জন্যও খতম দিয়েছি ।
তবে সঙ্গে থাকা স্ত্রী প্রতিবাদ করে বলেন, “হ্যাঁ, খতম দিয়েছেন! কিন্তু সারা বছর কোরআন তেলাওয়াত করেন না।” পরে ভিডিওতে দেখা যায়, মাওলানা শেখ মুজিবের জন্য আবেগাপ্লুত হয়ে কান্না শুরু করেন। স্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে রিকশা থেকে নেমে যান।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মাওলানা ও তার পরিবার সম্প্রতি পিরোজপুর থেকে ঢাকায় এসেছেন। ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে ঢুকতে গেলে পুলিশ ব্যারিকেডে বাধার সম্মুখীন হন। তিনি তখন বলেন, “আমি বঙ্গবন্ধুর জন্য কোরআন শরিফ খতম করেছি। যে দেশের জন্য সব কিছু করেছে, দেশের জন্য মারা গেছে। আমি তার কবর জিয়ারত করতে পারব না? আল্লাহর কাছে বিচার দেব।”
স্ত্রী মন্তব্য করেন, “আমার স্বামী বেশি কথা বলেন। আমরা ঢাকায় কিছুদিন আগে এসেছি, এখানে পরিচিতি কম। হঠাৎ তার ভেতরে ঢুকার ইচ্ছা হয়।”
ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয় এবং নেটিজেনদের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় । কেউ লিখেছেন, “জাহান্নামে সবার আগে আলেমরা যাবে, যারা বিশ্বাস করেন না তারা এই ভিডিও দেখুন। স্বামী তার স্ত্রীকে সম্মান করলে ভালো।” অন্যরা প্রশ্ন তুলেছেন, “মাওলানা গোপালগঞ্জে কেন যননি , এখানে কেন?”
এই ঘটনা ধর্মীয় বিশ্বাস ও রাজনৈতিক আবেগের সংমিশ্রণ হিসেবে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
Leave a comment