১৯৯৭ সালের ৩০ মে, এই দিনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সরকারি ছুটির দিন পুনর্বিন্যাস করে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুক্রবার এবং শনিবারকে সপ্তাহিক ছুটি ঘোষণা করা হয়, যা দেশের প্রশাসনিক কাঠামো, শিক্ষাব্যবস্থা এবং সাধারণ কর্মজীবনের গতিপথে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছিল।
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে দেশের ধর্মীয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতাকে গুরুত্ব দিয়েই ছুটির দিন পুনর্নির্ধারণ করে। এর আগে, বাংলাদেশে রোববার ছিল একমাত্র সরকারি ছুটির দিন। তবে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে শুক্রবারকে ধর্মীয় পবিত্রতার কারণে বহুদিন ধরেই বিশেষ মর্যাদার দিন হিসেবে দেখা হতো।
সরকারি ছুটির দিন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, সরকারি ও বেসরকারি অফিসের সময়সূচিতে পরিবর্তন আসে। ফলে দেশজুড়ে একধরনের নতুন রুটিনের সূচনা হয়। শিক্ষার্থী, কর্মজীবী এবং ব্যবসায়ীসহ সমাজের সব স্তরের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে এই পরিবর্তনের প্রভাব পড়ে।
এ ধরনের পরিবর্তন একদিকে যেমন ধর্মীয় অনুভূতিকে সম্মান জানিয়েছিল, তেমনি অন্যদিকে সরকারি কর্মপরিকল্পনা ও উৎপাদনশীলতায় কিছুটা রূপান্তর এনেছিল। যদিও শুরুতে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু বিতর্ক ও সমালোচনা দেখা যায়, সময়ের সাথে সাথে তা জনগণের জীবনে রূপ নেয় এক অভ্যস্ত বাস্তবতায়।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এই সিদ্ধান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়। সময়ের ধারায় তা এখন প্রতিষ্ঠিত রূপ নিয়েছে এবং আজও বাংলাদেশে শুক্রবার ও শনিবারই সাপ্তাহিক ছুটি হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
Leave a comment