যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকায় শহরের কেন্দ্রস্থলে জরুরি কারফিউ জারি করা হয়েছে। আর এর মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘বিদেশি শত্রুর আক্রমণ’ থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসকে ‘মুক্ত’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যদিও সেখানে সেনা মোতায়েন ঠেকাতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়া প্রশাসন।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্যানুসারে, ক্যালিফোর্নিয়ার স্থানীয় নেতাদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, ট্রাম্পের নির্দেশে মঙ্গলবার (১০ জুন) শত শত মার্কিন মেরিন লস অ্যাঞ্জেলেস এলাকায় পৌঁছায়, যা বিক্ষোভকারীদের আরও উত্তেজিত করে তোলে। এই ঘটনা কর্তৃত্ববাদের বিষয়ে সতর্ককারী ডেমোক্র্যাট নেতাদের মধ্যেও সৃষ্টি করেছে উদ্বেগ।
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসমের আপত্তি সত্ত্বেও শহরে বিক্ষোভ দমনের জন্য ট্রাম্প ৪ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সৈন্যকেও সক্রিয় করেছেন। যদিও নিউসম বলে আসছেন, এমন পদক্ষেপ ‘অপ্রয়োজনীয়, অবৈধ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। তবে অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানে থাকা ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর ক্যারোলিনার ফোর্ট ব্র্যাগে সেনা ঘাঁটিতে সৈন্যদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দেয়া এক ভাষণে নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষেই কথা বলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সেনাবাহিনীর বীরদের প্রজন্ম কেবল আক্রমণ এবং তৃতীয় বিশ্বের অনাচারের দ্বারা আমাদের দেশকে ধ্বংস হতে দেখার জন্য দূরবর্তী উপকূলে রক্ত দেয়নি।’ তার প্রশাসন লস অ্যাঞ্জেলেসকে ‘স্বাধীন’ করবে উল্লেখ করে ট্রাম্প আরও বলেন, “আপনারা ক্যালিফোর্নিয়ায় যা দেখছেন তা হলো শান্তি, জনশৃঙ্খলা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের ওপর একটি পূর্ণাঙ্গ আক্রমণ, যা বিদেশি পতাকা বহনকারী দাঙ্গাবাজরা করছে”।
এদিকে অভিবাসন আইন জোরদার করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকায় ‘ভাঙচুর ও লুটপাট’ বন্ধে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ জুন) লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের কেন্দ্রস্থলে কারফিউ জারি করেন স্থানীয় মেয়র কারেন বাস।
এক সংবাদ সম্মেলনে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র বলেন, তিনি স্থানীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন এবং মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে স্থানীয় সময় বুধবার (১১ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ চলবে।
সূত্র: এনডিটিভি, এপি
Leave a comment