বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে এক ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিলেন সিলেটের সাবেক মেয়র ও দলীয় উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী। বৈঠক শেষে মধ্যরাতে মানবজমিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি। জানালেন, “চমক নিয়ে আসছি। সময় হলেই জানতে পারবেন।”
লন্ডন সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় এই আলোচিত বৈঠকটি হয়। সেখানে সিলেটের রাজনৈতিক অবস্থা, নির্বাচনী প্রস্তুতি এবং সম্ভাব্য প্রার্থীতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও বৈঠকের সব কথা প্রকাশ করেননি আরিফ, তবে তার বক্তব্য ও ঘনিষ্ঠজনদের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, রাজনীতির ময়দানে নতুনভাবে সক্রিয় হতে যাচ্ছেন তিনি।
প্রায় ধোঁয়াশায় রাখা আরিফুল হকের এই সফর ঘিরে সিলেট বিএনপির রাজনীতিতে আলোচনার ঝড় উঠেছে। কখনো ভারপ্রাপ্ত মেয়র হওয়ার সম্ভাবনা, আবার কখনো সিলেট–৪ বা মর্যাদাপূর্ণ সিলেট–১ আসন থেকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের গুঞ্জন উঠেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ঘনিষ্ঠদের একাধিক স্ট্যাটাসে ইঙ্গিত মিলেছে, তিনি সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র হওয়ার ‘সবুজ সংকেত’ পেয়েছেন। পাশাপাশি দলীয় মনোনয়নের জন্য তিনি সিলেট–১ আসনের দিকেও নজর রেখেছেন, যেখানে জিয়া পরিবারের কোনো সদস্য প্রার্থী হলে ‘হিসেব ভিন্ন হবে’ বলে মনে করছেন তিনি।
আরিফুল হক দাবি করেন, সিলেটের উন্নয়ন গত ১৭ বছরে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে। সিটি করপোরেশনে দায়িত্ব পেলে কিংবা জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পেলে এই অঞ্চলকে আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তার বক্তব্যে উঠে আসে প্রবাসীদের ভূমিকার কথাও। তিনি বলেন, “প্রবাসীরা যদি সিলেটের উন্নয়নে এগিয়ে আসেন, তাহলে এই অঞ্চল আর অবহেলিত থাকবে না।”
লন্ডন সফরের অংশ হিসেবে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে একাধিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এসব অনুষ্ঠানে সিলেটের রাজনৈতিক ও উন্নয়ন পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন তিনি—যা তার ভবিষ্যৎ রাজনীতির সম্ভাবনাকেই স্পষ্ট করে।
বিএনপি সূত্র বলছে, আরিফুল হকের লন্ডন সফর শুধু সৌজন্য সাক্ষাৎ নয়, বরং দলীয় পুনর্বিন্যাস, নির্বাচনী প্রস্তুতি এবং ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
Leave a comment