জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার সময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিনের নীরবতা পালনের অভিযোগ তুলে একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে চলমান গণঅবস্থান থেকে এ দাবি জানান সংগঠনের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ।
আবদুল ওয়াহেদ বলেন, জুলাই ও আগস্টের গণহত্যায় আমরা দুই হাজারের বেশি ভাই-বোনকে হারিয়েছি। অথচ রাষ্ট্রপতি নীরব ছিলেন। তিনি শেখ হাসিনার অবৈধ নির্বাচনের অবৈধ সংসদ সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। শেখ হাসিনা পালিয়েছেন, সংসদ ভেঙে গেছে, এমপিরাও নেই—কিন্তু তিনি এখনো বহাল আছেন। ছাত্রসমাজ তার পদত্যাগ চেয়েছে, কিন্তু তিনি যাননি। তিনি জনগণের রাষ্ট্রপতি নন, কায়েমি স্বার্থবাদীদের মদদে টিকে আছেন।
তিনি বলেন, আমাদের স্পষ্ট দাবি, রাষ্ট্রপতি সাহাবউদ্দিন একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পা রাখতে পারবেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তার প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হোক।
১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র দলগুলোকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থান কর্মসূচি চলছে। ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই নেতা মো. ওমর ফারুক ও আবু সাঈদের অনশনের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়, পরে এতে যোগ দেয় বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। ১৬ ফেব্রুয়ারি জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত রানা তালুকদারের পরিবার সংহতি প্রকাশ করে এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
গণবক্তৃতা, কবিতা আবৃত্তি, তথ্যচিত্র প্রদর্শনী ও সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।
Leave a comment