রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় আমুর অঞ্চলের প্রত্যন্ত তুনদা এলাকায় আজ এক ভয়াবহ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা ঘটেছে। আনুমানিক অর্ধশত আরোহী নিয়ে একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনাস্থলের ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি পাহাড়ি এলাকায় উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ জ্বলছে এবং ঘন ধোঁয়া আকাশে উঠছে।
রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি একটি এএন-২৪ মডেলের। এটি সাইবেরিয়াভিত্তিক আনগারা এয়ারলাইন্স পরিচালনা করত। উড়োজাহাজটি চীন সীমান্তঘেঁষা তুনদা শহরের দিকে যাত্রা করছিল। পথে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং সেটি রাডার স্ক্রিন থেকে অদৃশ্য হয়ে পড়ে। পরে একটি তল্লাশি হেলিকপ্টার দুর্গম এলাকায় উড়োজাহাজটির মূল কাঠামো খুঁজে পায়, যা তখনো দাউ দাউ করে জ্বলছিল।
স্থানীয় গভর্নর ভাসিলি অরলভ জানান, উড়োজাহাজটিতে অন্তত ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে পাঁচটি শিশু। সঙ্গে ছিলেন ছয়জন ক্রু। তবে রুশ জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ধারণা করছে, আরোহীর সংখ্যা ৪০-এর আশেপাশে হতে পারে। এখনো পর্যন্ত হতাহতদের সুনির্দিষ্ট তথ্য মেলেনি, তবে প্রাণহানির আশঙ্কা প্রবল।
রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়ার একটি মিগ-৮ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তারা প্রথম ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করে। ঘটনাটি ঘটেছে তুনদা শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরের একটি দুর্গম পাহাড়ে। যান্ত্রিক ত্রুটি, খারাপ আবহাওয়া না অন্য কোনো কারণ—তা এখনো স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গত এক বছরে রাশিয়ায় বেশ কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের আগস্টে প্রিগোশিনসহ ভাগনার সদস্যদের বহনকারী একটি উড়োজাহাজও মস্কোর কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল।
এই দুর্ঘটনা ঘিরে আবারো রুশ অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলের নিরাপত্তা ও জরুরি সেবার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তল্লাশি ও উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ে সরকার আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
Leave a comment