রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ১ এপ্রিল এলাকার মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জেরে কাউসার আহমেদ রকিকে (২৫) ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। গত ১৭ মে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে র্যাব অভিযানে হত্যা মামলার প্রধান ও একমাত্র আসামি মোঃ রবিউল ইসলাম ওরফে রুবেলকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকালে তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি সিমকার্ড এবং নগদ ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৫ গোয়েন্দা শাখার দীর্ঘ দিনের নজরদারির পর ঢাকার বসুন্ধরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শনিবার বিকালে তাকে আটক করা হয় । বর্তমানে আসামিকে আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য গোদাগাড়ী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে এবং কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
গত ১ এপ্রিল ২০২৫ , গোদাগাড়ীর আচুয়াভাটা গ্রামে কাউসার আহমেদ রকি (২৫), পেশায় অটোচালক, তার অসুস্থ দাদিকে দেখতে যান। সেখানে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার চাচা রবিউলের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রবিউল বাড়ি থেকে ধারালো হাসুয়া এনে রকির ডান পায়ের উরুতে কোপ দিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে রকির মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার পর রকির মা বাদী হয়ে গোদাগাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। গোদাগাড়ীতে এ খুনের ঘটনা পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আলোচিত হয়েছে ।
হত্যাকাণ্ডের পর থেকে রবিউল ইসলাম আত্মগোপনে চলে যায় । র্যাব-৫ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল, র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় তার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করে ।
ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সে আত্মগোপন করলেও অবশেষে তাদের অনুসন্ধানে তথ্য মিলতে থাকে।
গ্রেফতার শেষে রবিউলকে প্রথমে র্যাব-৫ এর সদর দপ্তরে নেয়া হয়, এরপর গোদাগাড়ী থানায় সোপর্দ করা হয়।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানিয়েছেন, মামলার তদন্ত শেষে রবিউলকে আদালতে সোপর্দ করা হবে; আদালতে অভিযোগ গৃহীত হলে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে রবিউলকে কারাগারে পাঠানো হবে।
Leave a comment