রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলায় নিখোঁজ মো. মামুনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে জেলা সদর হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জুন আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কাউখালী উপজেলার ৪ নম্বর কলমপতি ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড আদর্শ গ্রাম এলাকায় মো. মামুন নামে এক ব্যক্তির মোবাইলে একটি কল আসে। বাড়ির কাউকে কোনো কিছু না বলে চলে যায় মামুন।
পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মামুনের নম্বর থেকে বাড়িতে ফোন দেওয়া হয়। তখন বলা হয়, একজন লোক যাচ্ছে তার কাছে চেক বই দেওয়ার জন্য। তারপর মুখ বাধা অবস্থায় একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার বাড়ি থেকে চেক বই নিয়ে চলে যায়। তারপর থেকে মামুনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ইটভাটায় কাজ করতো মামুন এবং একটি ব্রয়লার মুরগির ফার্ম রয়েছে।
এ ঘটনায় গত ৮ জুলাই রাত ৮টায় নিখোঁজ মামুনের স্ত্রী একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন কাউখালী থানায়।
সোমবার ভোর ৪টার দিকে নিখোঁজের উদ্ধারে কাউখালী থানার জিডি নং- ৩০৪ এর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে লক্ষ্মীপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে মূল আসামি কামরুল হাসানকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে কাউখালী থানায় নিয়ে আসেন এবং জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিম মো. মামুনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান। জিজ্ঞাসাবাদের সময় রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাদিরা নূর, কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম, কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম সোহাগ উপস্থিত ছিলেন।
সকাল সোয়া ৮টার দিকে ভিকটিমের লাশ উদ্ধারের জন্য কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম এবং কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম সোহাগের নেতৃত্বে স্কটসহ একটি টিম গ্রেফতারকৃত আসামি কামরুলের দেখানো মতে পশ্চিম নাইল্যাছড়ি আক্তারা বেগমের ঘরের পেছন থেকে উদ্ধার করেন ভিকটিম মামুনের দ্বিখণ্ডিত মরদেহ । মো. মামুনকে রানিরহাট কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন কামরুলের ভাড়া বাসায় হত্যা করে সিএনজি যোগে লাশ নাইল্যাছড়ি নিয়ে আসেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত আনোয়ার হোসেনকে রানীরহাট এলাকা থেকে আটক করে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় রাঙ্গামাটি কোর্টে প্রেরণ করেন।
অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিখোঁজ মো. মামুন (৪২) রাঙ্গামাটির কাউখালী থানার কলমপতি ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
অপহরণকারীরা হলেন রাঙ্গামাটির কাউখালী থানার কলমপতি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ গ্রামের মো. সেলিমের ছেলে কামরুল হাসান (২৩), চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিয়ালবুক্কা গ্রামের টেকনাফপাড়া ইউসুফ মেম্বারের বাড়ির নুরুল আলমের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২০) ও কাউখালী থানার কলমপতি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ গ্রামের কামরুল হাসানের স্ত্রী সাথী আক্তার।
Leave a comment