গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ সামরিক কমান্ডার রায়েদ সা’দ নিহত হয়েছেন-এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। গত অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর এটি হামাসের কোনো শীর্ষ নেতাকে হত্যার সবচেয়ে আলোচিত ও গুরুতর ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, শনিবার গাজা সিটির উপকণ্ঠে চালানো এক লক্ষ্যভিত্তিক হামলায় রায়েদ সা’দ নিহত হন। ওই হামলায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে।
রোববার প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় হামাসের গাজা শাখার প্রধান খলিল আল-হাইয়া রায়েদ সা’দের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এই হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল সরাসরি যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
খলিল আল-হাইয়া বলেন, “ইসরায়েলের ধারাবাহিক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অংশ হিসেবেই একজন হামাস কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি—বিশেষ করে চুক্তির প্রধান গ্যারান্টর যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন দখলদার শক্তি ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলতে এবং তা বাস্তবায়নে বাধ্য করে।”
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিন গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে প্রায় ৮০০টি হামলায় অন্তত ৩৮৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, এসব হামলা যুদ্ধবিরতি চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এ ছাড়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে গাজায় মানবিক সহায়তার অবাধ প্রবাহে বাধা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। খাদ্য, ওষুধ ও জরুরি ত্রাণ প্রবেশে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে মানবিক সংকট আরও গভীর করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
Leave a comment