যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন বিরল খনিজ সম্পদের বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। এই চুক্তির আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষরের জন্য শুক্রবার ওয়াশিংটন সফর করবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকে চুক্তিটি চূড়ান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চুক্তির আওতায়, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের মূল্যবান খনিজ উত্তোলনের সুবিধা পাবে। যদিও এতে নিরাপত্তা সহায়তা বা অস্ত্র সরবরাহের কোনো শর্ত অন্তর্ভুক্ত নেই, তবে ট্রাম্পের প্রত্যাশা, যুদ্ধের পর শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইউক্রেনে মার্কিন সেনা অবস্থান করতে পারে।
রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, ইউক্রেন ওয়াশিংটনের সমর্থন নিশ্চিত করতেই চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। তবে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দাবি প্রত্যাহার করা হয়েছে, যদিও ইউক্রেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দাবি নিরাপত্তা নিশ্চয়তা এখনো পূরণ হয়নি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, চুক্তির বিনিময়ে ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অধিকার পাবে। তবে অস্ত্র সরবরাহ চলবে কিনা, তা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে। তিনি বলেন, “যদি চুক্তি না হয়, তবে যুদ্ধ চলতে থাকবে।”
ট্রাম্প আরও উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে ইউক্রেনকে ৩০০-৩৫০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে এবং করদাতারা তাদের অর্থ ফেরত পেতে চান।
চুক্তির আওতায় উভয় দেশ একটি পুনর্গঠন বিনিয়োগ তহবিল গঠন করবে। ইউক্রেনের গণমাধ্যম ইউক্রেরাইনস্কা প্রাভডা জানিয়েছে, এই চুক্তিতে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্বাক্ষর করবেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ইউক্রেন বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামালের প্রায় ৫ শতাংশের মালিক। দেশটিতে লিথিয়াম, টাইটানিয়াম, কয়লা, গ্যাস ও তেলের বিশাল মজুত রয়েছে, যা বিশেষ করে ইলেকট্রিক যানবাহনের ব্যাটারি তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই চুক্তি শুধু খনিজসম্পদ নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির নতুন মোড়ের সূচনা করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
Leave a comment