যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সুধজা শহর থেকে ইউক্রেনের উঝহোরোদের মধ্য দিয়ে স্লোভাকিয়ার সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত গ্যাস বহনকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ পাইপলাইনের ‘নিয়ন্ত্রণ’ নিতে চায় ।
ইউক্রেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও ইউরোপের একটি প্রধান জ্বালানি সরবরাহ পথ হিসেবে বিবেচিত সোভিয়েত যুগে নির্মিত এই ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন । বিভিন্ন প্রতিবেদনে এ ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ঔপনিবেশিক চাপ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
শুক্রবার ওয়াশিংটন ও কিয়েভের কর্মকর্তারা খনিজ সম্পদবিষয়ক চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসেন। সেখানে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাইডেন সরকারের দেওয়া অস্ত্রের বিনিময়ে ইউক্রেনকে তাদের প্রাকৃতিক সম্পদের নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে হবে। রয়টার্স জানায়, এ প্রস্তাবের ধারাবাহিকতায় আলোচনা ক্রমেই তিক্ত হয়ে ওঠে।
ফেব্রুয়ারিতে প্রস্তাবিত প্রথম খসড়ার চেয়ে এবার যুক্তরাষ্ট্রের দাবি অনেক বেশি আগ্রাসী। আগের খসড়ায় ৫০০ বিলিয়ন ডলারের বিরল খনিজ, তেল ও গ্যাসের বিনিময়ে চুক্তির প্রস্তাব ছিল। কিন্তু সর্বশেষ প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র চায়, ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফিন্যান্স করপোরেশন যেন ইউক্রেনের গ্যাস পাইপলাইনের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
ইউক্রেন চলতি বছরের ১ জানুয়ারি গ্যাজপ্রমের সঙ্গে ইউক্রেনের পাঁচ বছরের গ্যাস চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
গত বছর প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রস্তাব দেন, যুক্তরাষ্ট্র চাইলে ইউক্রেনের খনিজ খাতে বিনিয়োগ করতে পারে। তিনি তখন আশা করেছিলেন, এর বিনিময়ে ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করবে। কিন্তু ট্রাম্প এখন বিনিময় ছাড়াই খনিজ সম্পদ দাবি করছে।
গত সপ্তাহে তিনি অভিযোগ করেন, জেলেনস্কি ‘চুক্তি থেকে সরে যেতে চাচ্ছেন’ এবং সই না করলে ‘বড় ধরনের সমস্যায় পড়বেন’ তিনি।
এদিকে বৃহস্পতিবার জেলেনস্কি সাংবাদিকদের বলেন, ইউক্রেন আধুনিকায়নের জন্য চুক্তিতে প্রস্তুত, তবে তা উভয় পক্ষের জন্য ‘সমানভাবে লাভজনক’ হওয়া জরুরি।
Leave a comment