যুক্তরাষ্ট্রের আইডাহো অঙ্গরাজ্যের পাহাড়ি এলাকায় আগুন নেভাতে গিয়ে দুইজন ফায়ারফাইটার বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অনেকে।
স্থানীয় সময় রোববার (২৯ জুন) দুপুরে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে । খবর বিবিসির।
কোটেনাই কান্ট্রির শেরিফ রবার্ট নরিস এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, কোউর ডিঅ্যালেন শহরের কাছাকাছি এলাকায় এক বা একাধিক বন্দুকধারী উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন রাইফেল দিয়ে ফায়ারফাইটার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
শেরিফ বলেন, “আমরা যখন ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিলাম, তখনই একজন স্নাইপার গুলি চালাতে শুরু করে। আমাদের কর্মকর্তারা জানান, তারা বিভিন্ন দিক থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। ফলে এলাকাটি ঘিরে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ওই স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
এফবিআইয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর ড্যান বঙ্গিনো জানান, কৌশলগত এবং প্রতিরোধমূলক সহায়তা দিচ্ছে এফবিআই। তিনি বলেন, “ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি এখনো জটিল ও অনিশ্চিত।”
আইডাহোর গভর্নর ব্রাড লিটল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, “আমাদের সাহসী ফায়ারফাইটারদের ওপর এই জঘন্য হামলার ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত আমরা। আমি আইডাহোর সবাইকে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর জন্য প্রার্থনার অনুরোধ জানাচ্ছি।”
তিনি আরো বলেন, “চলমান সংকট আরো ঘনীভূত হচ্ছে। তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি—আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও উদ্ধারকর্মীদের কাছাকাছি না গিয়ে তাদের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করুন।”
শেরিফ নরিস জানান, কতজন হামলাকারী এই ঘটনায় জড়িত, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তার ভাষায়, “আমরা জানি না ঘটনাস্থলে একজন, দুইজন, তিনজন না কি চারজন বন্দুকধারী আছে। গুলির উৎস স্পষ্ট নয়। ঘটনাটি কোউর ডিঅ্যালেন শহরের কেন্দ্র থেকে প্রায় ৬.৫ কিলোমিটার উত্তরে।”
তিনি জানান, স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২২ মিনিটে বনে আগুন লাগার খবর আসে। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর, ফায়ারফাইটারদের ওপর গুলিবর্ষণের খবর পাওয়া যায়।
স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার তদন্ত ও হামলাকারীদের শনাক্ত করতে এখনো অভিযান চালাচ্ছে ।
সূত্র: বিবিসি।
Leave a comment