পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় আগ্রহ দেখায়নি ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি ও বলপ্রয়োগের মধ্যে আলোচনার প্রস্তাব ‘অর্থহীন’।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে চিঠি লিখে সমঝোতার আশা প্রকাশ করেন। তবে এরপরই তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, চুক্তি না হলে বোমাবর্ষণ করা হবে। এই প্রসঙ্গে আরাগচি বলেন, “আপনারা যদি সমঝোতা চান, তাহলে হুমকি কেন?”
তিনি আরও জানান, ইরান সমতার ভিত্তিতে কথা বলতে রাজি, কিন্তু ভয় দেখিয়ে নয়। তাই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা নয়, বরং পরোক্ষ কূটনৈতিক আলোচনায় আগ্রহ রয়েছে ইরানের।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক চুক্তি (JCPOA) বাতিল করার পর থেকেই ইরান ধীরে ধীরে সেই চুক্তি মানা থেকে সরে আসে। এখন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মতে, ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরির মতো উপাদান জোগাড় করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির জবাবে ইরানের সামরিক বাহিনী জানায়, তারা যুদ্ধ চায় না, তবে প্রস্তুত রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হুমকি দিয়ে আলোচনার পথ তৈরি হয় না। বরং এতে উত্তেজনা বাড়ে। মধ্যপ্রাচ্যের নানা সংকট, যেমন গাজা যুদ্ধ ও সিরিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ইরানকে আরও চাপের মুখে ফেলছে। তবে ইরান এখনো দাবি করছে, তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম কেবল শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত।
Leave a comment