যুক্তরাজ্য সরকার আশ্রয় প্রার্থীদের আবেদন ও আপিল প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। লক্ষ্য হলো হোটেলে অবস্থানরত অভিবাসীদের সংখ্যা কমানো, যাদের অনেকেই বছরের পর বছর ধরে মামলার রায়ের অপেক্ষায় রয়েছেন।
রোববার (২৪ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, আশ্রয় সংক্রান্ত আপিলগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নতুন একটি স্বাধীন সংস্থা গঠন করা হবে। এখানে আদালতের বাইরে স্বাধীন বিচারকরা এসব মামলার শুনানি পরিচালনা করবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার বলেন, “আশ্রয়ের প্রাথমিক আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। কিন্তু প্রত্যাখ্যাত মামলার আপিল শুনানিতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। এটি সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।” বর্তমানে একটি আপিল শেষ হতে গড়ে এক বছরেরও বেশি সময় লাগে। এর ফলে প্রায় ৫১ হাজার মামলা রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে, এবং এই সময়ে সরকারকেই আবেদনকারীদের ভরণ-পোষণের খরচ বহন করতে হচ্ছে।
সরকার বিশ্বাস করছে, নতুন প্যানেল প্রচলিত আদালতের তুলনায় দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করতে পারবে। কুপার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, শরৎকালেই এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা ঘোষণা করা হবে।
বর্তমানে যুক্তরাজ্যের হোটেলগুলোতে প্রায় ৩২ হাজার আশ্রয়প্রার্থী অবস্থান করছেন। এই সংখ্যা দ্রুত কমানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে। এদিকে, বিরোধী রক্ষণশীল দল বলেছে, আশ্রয় ব্যবস্থাপনা এখন সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খল। আর রিফর্ম ইউকে দলের দাবি, যারা অবৈধভাবে বা অনিয়মিত পথে প্রবেশ করেছে, তাদের গণহারে বহিষ্কার করা উচিত।
গত সপ্তাহে হোটেলগুলোতে আশ্রয়প্রার্থীদের রাখার প্রতিবাদে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্র: বিবিসি
Leave a comment