ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় ১৬ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় আদালত সৎ বাবা মো. মোতাহারকে (৪১) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান বুধবার (১৮ জুন) এ রায় ঘোষণা করেন। এছাড়া আসামিকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। আসামির স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি পূর্বক আদায় করে ভুক্তভোগীকে দেওয়ার জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী তার মায়ের সঙ্গে সৎ বাবা মোতাহারের বাসায় থাকত। পৃথক ঘরের ব্যবস্থা না থাকায় একই ঘরে থাকতেন তারা সবাই। বিভিন্ন সময়ে ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন রকমের কু-প্রস্তাব দিত আসামি।
কিন্তু আসামির কু-প্রস্তাবে রাজি হননি তিনি। পরে ২০২১ সালের ২০ জুন রাত ১০টার দিকে ভুক্তভোগীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে আসামি মোতাহার জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন তাকে । আসামি হুমকি দেয় যে ঘটনা কাউকে জানালে তাকে হত্যা করবেন। এজন্য তিনি কাউকে কিছু বলেননি। পরে একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর রাতে ভিকটিমকে পুনরায় জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। এরপর ভুক্তভোগী বিষয়টি তার মাকে জানান। এরপর তার মা ও আসামি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর ভুক্তভোগী তার আপন পিতার নিকট চলে যান।
২০২১ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় ভুক্তভোগী মেয়ে, সৎ বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক আবুল হাসান ২০২২ সালের ২৭ মে আসামি মোতাহারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলায় বিচার চলাকালে আদালত ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন।
অন্যদিকে আসামিপক্ষ থেকে আদালতে দাবি করা হয়, ভুক্তভোগীর সঙ্গে আসামির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ভুক্তভোগীর সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক হয়। ধর্ষণ করা হয়নি তাকে
Leave a comment