মেক্সিকোর অপরাধপ্রবণ এলাকায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে কাজ করা একদল অনুসন্ধানকারী, দেশটির গুয়ানাজুয়াতো রাজ্যের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে ১৭টি লাশ। নিখোঁজদের সন্ধানে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী দলটি প্রথম সূত্র পেয়ে স্থানীয় প্রসিকিউটরের সহায়তায় এই তদন্ত চালায়।
গত সপ্তাহে, মেক্সিকোর মধ্যাঞ্চলের ইরাপুয়াতো শহরে এই ঘটনা ঘটেছে । ওই এলাকায় পরিত্যক্ত বাড়ির নিচে লুকানো লাশগুলো খুঁজেতে বিশেষ রাডার যন্ত্র ও প্রশিক্ষিত লাশ শনাক্তকারী কুকুর ব্যবহার করা হয়েছে। লাশগুলো কবর দেওয়া হয়নি, বরং মাটির নিচে অগোছালোভাবে চাপা দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে ধারালো ছুরি, দা ও কুড়ালের মতো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে —যা থেকে বোঝা যায়, হত্যাকাণ্ড ছিল অত্যন্ত নিষ্ঠুর ও সহিংস।
স্থানীয় প্রসিকিউটরদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উদ্ধার হওয়া লাশের মধ্যে অন্তত পাঁচজন ব্যক্তি আগেই নিখোঁজ হিসেবে তালিকাভুক্ত ছিলেন। গুয়ানাজুয়াতো রাজ্যটি যদিও একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প অঞ্চল এবং জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত, তবে একইসঙ্গে এটি বর্তমানে মেক্সিকোর সবচেয়ে সহিংস এলাকা হিসেবেও কুখ্যাত।
রাজ্যটিতে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী—‘সান্তা রোসা দে লিমা গ্যাং’ এবং ‘জালিসকো নিউ জেনারেশন কার্টেল’-এর মধ্যে সংঘর্ষ লেগেই আছে, যা সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।
প্রসঙ্গত ,২০০৬ সাল থেকে মেক্সিকোতে মাদক চোরাচালান এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে কেন্দ্র করে চলা সহিংসতায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ লক্ষ ৮০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ১ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি নিখোঁজ রয়েছেন—এমনটাই জানাচ্ছে সরকারি পরিসংখ্যান।
শুধুমাত্র গত বছর গুয়ানাজুয়াতোতেই রেকর্ড করা হয়েছে ৩ হাজারের বেশি হত্যাকাণ্ড, যা মেক্সিকোর যেকোনো রাজ্যের তুলনায় সর্বোচ্চ।
Leave a comment