মাদারীপুর সদর উপজেলার আমিরাবাদ এলাকায় দীপ্তি মণ্ডল (২৫) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতনের পর তাকে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে শহরের বাদামতলা মণ্ডলবাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত দীপ্তি ওই বাড়ির তাপস মণ্ডলের স্ত্রী।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, বিয়ের পর থেকেই দীপ্তি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলেন। তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যরা প্রায়ই বিভিন্ন অজুহাতে তাকে মারধর করতেন। দীপ্তির ভাই সাংবাদিকদের বলেন,“আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পরে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, এক বছর আগে তাপস মণ্ডলের সঙ্গে দীপ্তির বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। সম্প্রতি স্বামীর পরিবার যৌতুকের জন্য চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
খবর পেয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা)বলেন,“আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। এটি আত্মহত্যা না হত্যাকাণ্ড—তা ময়নাতদন্ত ও তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
তিনি আরও বলেন,“নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” নারী নির্যাতন ও পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা দেশে উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বারবার সতর্ক করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পারিবারিক নির্যাতনের শিকার নারীদের নিরাপত্তা ও আইনি সহায়তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
Leave a comment