রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্মার জুনুনী চট্টগ্রামের মাছ ব্যবসায়ী পরিচয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন। চিকিৎসার জন্য থাকার কথা বলে তিনি গত নভেম্বরে ভূমি পল্লী আবাসিক এলাকায় সহযোগীদের নিয়ে অবস্থান নেন।
সোমবার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাতে র্যাব অভিযান চালিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের ১০ তলা ভবনের অষ্টম তলার ফ্ল্যাট থেকে আতাউল্লাহসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। একই সঙ্গে ময়মনসিংহ থেকে আরও চারজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী ও অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে তিনটি মামলা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত নভেম্বর মাসে এক ব্যক্তি সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে আতাউল্লাহকে আত্মীয় দেখিয়ে ১১ হাজার টাকায় ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন। তিনি চট্টগ্রামের বাসিন্দা ও মাছ ব্যবসায়ী বলে দাবি করেন এবং চিকিৎসার জন্য এখানে থাকার কথা বলেন। পরবর্তীতে জানুয়ারি মাসে তাঁরা ২০ হাজার টাকা ভাড়ায় অষ্টম তলায় বড় একটি ফ্ল্যাটে ওঠেন।
গ্রেপ্তারের পর ভবনের বাসিন্দারা হতবাক হয়ে পড়েন। কারণ, আতাউল্লাহ ও তাঁর সহযোগীরা খুবই সতর্কভাবে চলাফেরা করতেন এবং কারও সঙ্গে মিশতেন না। স্থানীয় নিরাপত্তা প্রহরী জানান, চার মাস আগে আতাউল্লাহসহ কয়েকজন কালো হাইয়েস মাইক্রোবাসে ফ্ল্যাটে ওঠেন। তিনি সাধারণত ফ্ল্যাটেই থাকতেন, মাঝেমধ্যে চিকিৎসার জন্য বের হতেন।
এ ঘটনার পর ভবনের মালিকরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে শুরু করেছেন। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘যদি তাঁরা আমাদের জিম্মি করতেন, কী ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হতো!’
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহীনুর আলম জানান, আটক আতাউল্লাহকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁর সহযোগীদের পরিচয় ও উদ্দেশ্য জানার চেষ্টা চলছে।
Leave a comment