স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন সক্রিয় আগ্নেয়গিরির ওপর নজর রাখছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। অগ্ন্যুৎপাতের আগাম পূর্বাভাস পেতে ও আগ্নেয়গিরির পরিবর্তন বুঝতে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। গবেষকেরা বলছেন, স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া উপাত্ত আগ্নেয়গিরি সংক্রান্ত ঝুঁকি মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
নাসার তথ্য অনুযায়ী, ল্যান্ডস্যাট ৮ ও ৯ স্যাটেলাইট ব্যবহার করে আগ্নেয়গিরির সর্বশেষ গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া সেন্টিনেল-৫পি স্যাটেলাইট সালফার ডাই–অক্সাইডসহ বিভিন্ন গ্যাস শনাক্ত করছে, যা অগ্ন্যুৎপাতের সময় বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে। অন্য যন্ত্রপাতি ও স্যাটেলাইটগুলো আগ্নেয়গিরির ছাই, অ্যারোসল ও অগ্ন্যুৎপাতের দৃশ্যমান ছবি সংগ্রহ করছে।
বর্তমানে অগ্ন্যুৎপাত পূর্বাভাসের নির্ভরযোগ্য কোনো পদ্ধতি নেই। যাঁরা আগ্নেয়গিরির আশপাশে বসবাস বা কাজ করেন, তাঁরা এসব অনিশ্চয়তার মুখে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। তাই নাসা আগ্নেয়গিরির গতিবিধি পর্যবেক্ষণকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
নাসার আমেস রিসার্চ সেন্টারের আগ্নেয়গিরিবিদ ফ্লোরিয়ান শোয়ান্ডনার জানান, আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণের প্রযুক্তি আরও উন্নত করা গেলে অগ্ন্যুৎপাতের পূর্বাভাস ব্যবস্থা আরও নির্ভরযোগ্য করা সম্ভব। এ লক্ষ্যে গবেষণা ও প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছে নাসা।
Leave a comment