গতকাল লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালে’র’ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে, নয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে , বাংলাদেশে স্বাধীন মতপ্রকাশের কারণে সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী ও সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার, সহিংসতা ও হেনস্তার মতো ঘটনা ঘটছে । যার সাপেক্ষে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, আর্টিকেল নাইনটিন, এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, সিভিকাস: ওয়ার্ল্ড অ্যালায়ন্স ফর সিটিজেন পার্টিসিপেশন, ফর্টিফাই রাইটস, ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্ডার্স, পেন আমেরিকা ও দ্য কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) সহ নয়টি সংগঠন একত্রে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার লঙ্ঘনের ঘটনা তুলে ধরেছে।সাম্প্রতিক সময়ে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের কারণে নাগরিক ও মানবাধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা, গ্রেপ্তার ও হেনস্তার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ সহ এই সকল ঘটনার তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের আহ্বান জানানো হয়েছে।মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলেছে, সাম্প্রতিক হামলার সব ঘটনায় রাষ্ট্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পক্ষ জড়িত না থাকলেও বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকার সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে সরকারের। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মতপ্রকাশের কারণে বিভিন্ন ব্যক্তি ও মানবাধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার চর্চা অবিলম্বে ও নিঃশর্তে বন্ধ করতে হবে।সংগঠনগুলো বলেছে, অতীতের ধারা থেকে বেরিয়ে এসে, একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন মতপ্রকাশের পরিবেশ গঠনের জন্য সরকারের উচিত যথাযথ ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। দেশের নাগরিকদের রাষ্ট্রবহির্ভূত হামলার মোকাবিলায় সুরক্ষা প্রদান করাও একান্ত প্রয়োজন।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে অনেকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে যে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে, তা–ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকারবিষয়ক মানদণ্ডের সঙ্গে সংগতি রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। খসড়া এই আইনেও আগের আইনের বিতর্কিত বিষয় রয়ে গেছে বলে, সংগঠনটি মত প্রকাশ করেছে।
Leave a comment