বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের লন্ডনে একটি গুরুত্বপূর্ণ জনসভায় অংশ নিতে যাচ্ছেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই আলোচনা সভা ও জনসমাবেশ পূর্ব লন্ডনের সিটি প্যাভিলিয়ন হলে অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন প্রবাসে অবস্থানরত তারেক রহমানের দেশে ফেরার আগে এটি লন্ডনে তার সর্বশেষ বড় জনসভা হতে পারে—এমন ধারণা থেকেই অনুষ্ঠানটি ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ ও উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর আগে প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৫ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। এই ঘোষণার পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে তার প্রত্যাবর্তন নিয়ে আলোচনা জোরালো হয়েছে। তারেক রহমানের দীর্ঘ প্রবাসজীবনের অবসান এবং সক্রিয় রাজনীতিতে সরাসরি অংশগ্রহণের সম্ভাবনা বিএনপি ও বিরোধী রাজনীতিতে নতুন গতি আনতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাজ্য বিএনপি জানিয়েছে, ১৬ ডিসেম্বরের এই কর্মসূচি শুধুমাত্র একটি আনুষ্ঠানিক আলোচনা সভা নয়; বরং এটি হবে মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা নিয়ে একটি তাৎপর্যপূর্ণ সমাবেশ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক। পুরো আয়োজন পরিচালনা করবেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ।
যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খসরুজ্জামান খসরু জানিয়েছেন, “দেশে ফেরার আগে তারেক রহমানের এই জনসভাকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। লন্ডনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেবেন। অনুষ্ঠানটি সফল করতে আমরা সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।”
আয়োজকদের ভাষ্য অনুযায়ী, বিজয় দিবসের তাৎপর্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার এবং দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি—এই সব বিষয় তারেক রহমানের বক্তব্যে গুরুত্ব পেতে পারে। পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক দিকনির্দেশনাও তিনি তুলে ধরতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে, মঙ্গলবার লন্ডনে অনুষ্ঠিতব্য তারেক রহমানের জনসভা শুধু একটি দলীয় কর্মসূচি নয়; বরং এটি তার দীর্ঘ প্রবাসজীবনের শেষ পর্যায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মুহূর্ত হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। দেশে ফেরার আগে তার বক্তব্য বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনীতি এবং জাতীয় রাজনীতির গতিপথে কী প্রভাব ফেলে—সেদিকেই এখন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টি ।
Leave a comment