ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং সাধারণ ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তেলের দাম কমানোর প্রস্তাব দিলেও ব্যবসায়ীদের আপত্তিতে তা বাস্তবায়িত হয়নি। বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক বৈঠকে এই প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। তবে অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ী ও শিল্প প্রতিনিধিরা আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য ও আমদানি খরচের বাস্তবতা তুলে ধরে প্রস্তাবটির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ফলে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনসহ সিটি, মেঘনা, টি কে ও বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিনিধিরা। আলোচনায় ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের উপস্থাপিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১৫ জুলাই আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম অয়েলের এফওবি মূল্য ছিল যথাক্রমে এক হাজার ৭৯ ও এক হাজার ১৭ ডলার, যা ১৫ এপ্রিলের তুলনায় সয়াবিনে ০.৭ শতাংশ বেড়েছে এবং পাম অয়েলে ৩ শতাংশ কমেছে। ওই ভিত্তিতে প্রতি লিটার খোলা পাম অয়েলে ১৯ টাকা ও সয়াবিনে ১ টাকা কমানোর সুযোগ রয়েছে বলে প্রতিবেদন উল্লেখ করে।
তবে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, ট্যারিফ কমিশন আন্তর্জাতিক বাজারের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। তাঁদের মতে, বর্তমানে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম অয়েলের মূল্য যথাক্রমে প্রায় এক হাজার ১০০ ডলারের উপরে, যা প্রতিবেদনে প্রতিফলিত হয়নি। পাশাপাশি আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ের ভ্যাট হিসেবেও ভুল রয়েছে বলে অভিযোগ করেন মেঘনা গ্রুপের উপমহাব্যবস্থাপক তসলিম শাহরিয়ার।
সব পক্ষের বক্তব্য ও তথ্য বিশ্লেষণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আগামী শনিবার, ২৭ জুলাই, পুনরায় বৈঠক আহ্বান করেছে। সেখানে নতুন করে মূল্য বিশ্লেষণ এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
Leave a comment