ভারতের মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়ে ইন্দোরের ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশী প্রাণ হারালেন। সদ্য বিবাহিত এই যুবক স্ত্রীর পরকীয়ার বলি হলেন।
হত্যাকাণ্ডে তার স্ত্রী সোনমের সম্পৃক্ততার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার পর ‘নিখোঁজ’ সোনমকে অচেতন অবস্থায় উত্তরপ্রদেশের গাজীপুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন সোনম পুলিশকে জানায়, এই হত্যার পরিকল্পনাকারী তিনি নিজেই এবং ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্বামীকে খুন করিয়েছেন।
মেঘালয়ের পুলিশ মহাপরিচালক (ডিজিপি) ইদাশিশা নোংরাং জানান, সোনমের দেওয়া তথ্যে রাতভর অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও তিন অভিযুক্তকে। এর মধ্যে একজনকে উত্তরপ্রদেশ থেকে এবং দুজনকে ইন্দোর থেকে আটক করা হয়।
অভিযুক্তরা স্বীকার করেছে, সোনম তাদের অর্থের বিনিময়ে রাজাকে হত্যার জন্য ভাড়া করেছিলেন। মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছে, একটি পরকীয়া সম্পর্কের জেরে স্ত্রী সোনম, স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুন করার পরিকল্পনা করেন এবং প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার সহায়তায় হত্যাকাণ্ডটি ঘটান।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সাংমা পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করে এক্সে লিখেছেন, মেঘালয় পুলিশ রাজা হত্যা মামলায় মাত্র ৭ দিনের মধ্যে বড় সাফল্য অর্জন করেছে। গ্রেপ্তার হয়েছে মধ্যপ্রদেশের তিন আততায়ী । স্ত্রী আত্মসমর্পণ করেছে এবং আরও একজন পলাতককে ধরতে চলছে অভিযান।
জানা গেছে, ২৩ মে নববিবাহিত রাজা রঘুবংশী ও তার স্ত্রী সোনম মেঘালয়ের পূর্ব খাসি পাহাড়ের চেরাপুঞ্জি ভ্রমণে যান। ২২ মে তারা নংরিয়াতে পৌঁছান এবং পরদিন একটি হোমস্টে থেকে চেক-আউট করেন। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন দুজন। পরদিন তাদের ভাড়া করা স্কুটারটি সোহারারিম এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়।
১০ দিন পর ওয়েইসডং পার্কিং লটের নিচের একটি গভীর খাদে পাওয়া যায় রাজার মরদেহ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ধারাল ছুরি।
Leave a comment