ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভার নারায়ণপুর এলাকায় জুমার নামাজের সময় এক গৃহবধূকে ঘরে একা পেয়ে বেঁধে স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনায় এক তরুণ ও এক তরুণীকে হাতেনাতে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা কসবা উপজেলার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম ওরফে শাহীন (২৪) ও সুমাইয়া আক্তার (২০)। সুমাইয়া নিজেকে সাইফুলের স্ত্রী দাবি করেছেন। তারা আখাউড়া উপজেলার কলেজপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জুমার নামাজের সময় অধিকাংশ পুরুষ মসজিদে ছিলেন। এই সুযোগে সুমাইয়া পানি চাইবার অজুহাতে জয়নাল মিয়ার বাড়িতে প্রবেশ করেন। কিছুক্ষণ পর তার সঙ্গী সাইফুলও ঘরে ঢুকে পড়েন। সে সময় বাড়িতে কেবল গৃহবধূ উপস্থিত ছিলেন। সাইফুল সঙ্গে থাকা দড়ি দিয়ে গৃহবধূকে বেঁধে ফেলে এবং মুখে কাপড় গুঁজে দেয়। তার হাতে ছিল গ্লাভস পরিহিত অবস্থায় দুটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র। পরে তারা ঘরের ভেতরে থাকা স্বর্ণালংকার লুটের চেষ্টা করে।
তবে গৃহবধূ কোনোভাবে নিজের বাঁধন খুলে রাস্তায় ছুটে গিয়ে চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা দ্রুত ছুটে আসেন। তখন পালানোর সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন ওই তরুণ-তরুণী। জনতা পরে তাদের আখাউড়া থানায় সোপর্দ করে। আটককৃতদের কাছ থেকে দুটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বাড়ির মালিক জয়নাল মিয়া জানান, পরিকল্পিতভাবে ওই তরুণ-তরুণী তার বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে বেঁধে স্বর্ণালংকার লুটের চেষ্টা চালায়। তার স্ত্রী বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে নিজের জীবন বাঁচিয়েছেন এবং চিৎকারে এলাকাবাসী এসে দুই লুটকারিকে আটক করতে সক্ষম হন। তার দাবি, কিছু স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা গেলেও এখনও কিছু মালামাল খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমি উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্তমানে দুই আসামিকে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। স্থানীয়দের তৎপরতায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ও সম্ভাব্য অপরাধমূলক ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।
Leave a comment