আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অনুমোদন পাওয়া ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কার্যক্রম বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।
আজ রোববার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, বাতিল হওয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর মধ্যে পাঁচটি সরকারি ও পাঁচটি বেসরকারি।
আশিক চৌধুরী জানান, প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে আজ বেজার গভর্নিং বোর্ডের সভায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে ১০টি অঞ্চলকে চূড়ান্তভাবে বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।
সরকারি যে পাঁচটি অঞ্চল বাতিল হয়েছে সেগুলো হলো—কক্সবাজারের সোনাদিয়া ইকোট্যুরিজম পার্ক, বাগেরহাটের সুন্দরবন ট্যুরিজম পার্ক, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল, গাজীপুরের শ্রীপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল।
বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে—চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিজিএমইএ পোশাকশিল্প পার্ক, সুনামগঞ্জের ছাতক অর্থনৈতিক অঞ্চল, বাগেরহাটের ফমকম অর্থনৈতিক অঞ্চল, ঢাকা জেলার সিটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ অর্থনৈতিক অঞ্চল।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু এক দশকের বেশি সময়েও কয়েকটি বেসরকারি অঞ্চল ছাড়া কার্যকরভাবে কোনো অঞ্চল প্রতিষ্ঠা হয়নি।
এই প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার এসে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর পরিকল্পনা পুনর্মূল্যায়ন শুরু করে। গত জানুয়ারিতে বেজা জানায়, আপাতত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের বদলে পাঁচটি অঞ্চল নিয়ে স্বল্পমেয়াদি, সময় নির্ধারিত পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে, যা দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।
আশিক চৌধুরী জানিয়েছিলেন, এই পাঁচটি অঞ্চল সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে ১৩৩টি শিল্পকারখানা নির্মাণ, ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ এবং প্রায় ২ লাখ ৩৮ হাজার কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ১০০টি অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা একেবারে বাদ দেওয়া হচ্ছে না। এটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে থাকবে। কিছু অঞ্চল বাতিল হতে পারে—এমন ইঙ্গিত আগেই দেওয়া হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় আজ ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিলের ঘোষণা এসেছে।
Leave a comment